আবারো স্বল্প খরচে পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ সিশেলসে যাওয়ার সুযোগ!

গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় সিশেলস। তবে ১১ মাস পর পূর্ব আফ্রিকার দেশটি আবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে সম্মত হয়েছে। এজন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে দেশটি বাংলাদেশি কর্মী নিয়ে যাবে। স্বল্প খরচে কর্মী নেবে দেশটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পক্ষে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তথা সরকারি রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কর্মী প্রেরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পাদন করবে।
এদিকে পুনরায় সিশেলসে বাংলাদেশি কর্মী রপ্তানির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। তবে কর্মী রপ্তানিতে অবশ্যই দক্ষ ও যোগ্য কর্মী প্রেরণের পাশাপাশি তাদের সেখানে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সরকারকেও ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
গত ২১ অক্টোবর সিশেলসের রাজধানী ভিক্টোরিয়াতে বাংলাদেশ-সিশেলস জনশক্তি রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সিশেলসের পক্ষে দেশটির এমল্পয়মেন্ট, ইমিগ্রেশন ও সিভিল স্ট্যাটাস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মিজ মারিয়াম তেলেমাক।
সিলেশসে বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণে স্বাক্ষরিত চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শ্রম বাজার ছাড়াও দেশটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছে মন্ত্রণালয়।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিশেলস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে। কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে উভয় দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করায় গত ২১ অক্টোবর নতুন করে কর্মী রপ্তানিতে চুক্তি হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সিশেলস আমাদের কর্মীদের আবার কর্মসংস্থান হবে।’
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে সিলেশসে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নির্মাণ শিল্পে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া হোটেল, টুরিজম, স্বাস্থ্য সেবা, হাউজ কিপিং, কুক, ভিলা এটেন্ডডেন্ট, কৃষি খামার, পোল্টি খামার প্রভৃতি খাতেও কাজ করছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
এসব কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি কর্মীরা কর্মরত থাকলেও ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্টিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং টুরিজম খাতে বাংলাদেশী কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই মন্ত্রণালয় দেশটিতে কর্মী হিসেবে এসব ক্ষেত্রেও কাজ জানে এমন দক্ষ ও যোগ্য কর্মী পাঠাতে চায় মন্ত্রণালয়।
সিশেলসে যেতে কর্মীদের যা যা লাগবে
চাকরির মেয়াদ অনুসারে বৈধ পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, বিএমইটি কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্র/স্মার্ট কার্ড, সিশেলস ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ইস্যুকৃত জিওপি; যা বাংলাদেশে অবস্থিত সিশেলস কনস্যুলেট কর্তৃক এনডোর্স করা হবে, এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট; যা সিশেলস এমপ্লয়মেন্ট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক সত্যায়িত এছাড়া অনুসাঙ্গিক অন্যান্য কাগজপত্র।
Related News

প্যারিসে ‘ হিউম্যান রাইটস্ ‘ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ফ্রান্স প্রতিনিধি : ১৭ই সেপ্টেম্বর রবিবার রাজধানী প্যারিসের একটি চার তারকা হোটেলের কনফারেন্স রুমে ‘Read More

পর্তুগালে বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত
পর্তুগালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) উদ্যোগে রাজধানী লিসবনে রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময়Read More
Comments are Closed