জবির শিক্ষার্থীদের সাত দাবি মেনেছে প্রশাসন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪৫ কার্যদিবেসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রদান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রথম সমাবর্তন শেষে জকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০১৯ সালের আগস্টের মধ্যে ১০টি একতলা ও একটি দোতলা বাস সরবরাহ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে বাসগুলোর অন্তর্ভুক্তিতে পরিবহন সমস্যার সমাধান হবে। এই ১১টি বাস পরিবহন পুলে যুক্ত হলে প্রতিটি রুটে বাসের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাত্রীহলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, হল হস্তান্তরের সময়সীমা আর কোনোভাবেই বৃদ্ধি করা হবে না। এবার থেকে শিক্ষক নিয়োগে জবি শিক্ষার্থীদের হার বৃদ্ধি করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন অত্যাধুনিক করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ক্যান্টিনের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। এবছর গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলে এই খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
জানা যায়, গত ১ জুলাই থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত রোববার কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম ভূইয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে ফলের জুস পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়র রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর ড. মো. নূর মোহাম্মদসহ সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য।
Related News
প্যারিসে ‘ হিউম্যান রাইটস্ ‘ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ফ্রান্স প্রতিনিধি : ১৭ই সেপ্টেম্বর রবিবার রাজধানী প্যারিসের একটি চার তারকা হোটেলের কনফারেন্স রুমে ‘Read More
পর্তুগালে বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত
পর্তুগালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) উদ্যোগে রাজধানী লিসবনে রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময়Read More
Comments are Closed